ঢাকার নবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান নবাবগঞ্জ ললিতকলা একাডেমি (নাফা)-এর উদ্যোগে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে সোমবার বিকালে আয়োজন করে বর্ষবরণ উৎসব। মাটির সংস্কৃতি ধরে রাখবো আমরা ছড়িয়ে দিব সারা বিশ্বে—এই স্লোগানকে ধারন করে নবাবগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল মাঠের বটতলায় বিকাল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলেছে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মিলনমেলা।
অনুষ্ঠানে থিমভিত্তিক ফ্যাশন শো, সংগীত, নৃত্য ও চারুকলা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশীয় সংস্কৃতির রূপ তুলে ধরা হয়।ঐতিহ্যবাহী কাচনাচানি নিয়ে গবেষণাভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।দর্শকদের মধ্য থেকে বৈশাখী সাজে সেরা সুদর্শন-সুন্দরী নির্বাচন করে তাদের সম্মাননা জানানো হয়।নাফার শতাধিক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দর্শকদের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিলো বটতলার প্রাঙ্গণ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।
উদ্বোধন করেন নবাবগঞ্জ সরকারি পাইলট স্কুল এর প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতি মাহমুদ আলী খান টুলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, সাবেক এএসপি, নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম,নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম। নাফার প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান তোতা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন নাফার সাধারণ সম্পাদক, গবেষক ও সংস্কৃতিকর্মী সায়মা রহমান তুলি। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন লতিফা রহমান লতা।
অতিথিরা বলেন,নবাবগঞ্জ ললিতকলা একাডেমি (নাফা)
দীর্ঘ দিন যাবত নবাবগঞ্জের শিশু-কিশোরদের মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে। দেশীয় সংস্কৃতি ও লোকগবেষণায় তাদের অবদান অনন্য।সংগঠনের সভাপতি শফিউর রহমান তোতা বলেন,
“আমরা নিজেদের অর্থায়নে এ উৎসব আয়োজন করি, যাতে নতুন প্রজন্ম দেশীয় সংস্কৃতির শেকড়ের সাথে যুক্ত থাকে।” এবারের অনুষ্ঠানে ফ্যাশন শো, কাচনাচানি গবেষণা ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণের বিশেষ প্রদর্শনী ছিল দর্শকদের জন্য উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ। নাফার সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ আয়োজন বাংলা সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা ও মাটির গন্ধে ফিরে যাওয়ার বার্তা দিয়েছে এবার। এস. এইছ. বি